মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রশসনের দ্বারস্থ বিডিএফ যুব ফ্রণ্ট।

2 - মিনিট |

নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনামূলক মন্তব্য সারা ভারতে বাঙালিদের হেনস্থা এবং নিপীড়নে ইন্ধন যোগাবে, অবিলম্বে এই ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়ে কাছাড় পুলিশ সুপার ও ডিজিপির কাছে লিখিত আবেদন পত্র পেশ করল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনামূলক মন্তব্য সারা ভারতে বাঙালিদের হেনস্থা এবং নিপীড়নে ইন্ধন যোগাবে, অবিলম্বে এই ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়ে কাছাড়  পুলিশ সুপার ও ডিজিপির কাছে লিখিত আবেদন পত্র পেশ করল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট।

সম্প্রতি ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আসামের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আসামের বাঙালাভাষীদের বাঙলাদেশী অভিহিত করে যে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে কাছাড় পুলিশ সুপারের কাছে আজ লিখিত আবেদন পত্র পেশ করল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন  মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে আসামের চল্লিশ শতাংশ নাগরিকই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অর্থাৎ বাংলাদেশী। তিনি বলেছেন আসাম বিধানসভার চল্লিশ শতাংশ বিধায়কই এদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থাৎ তারাও বাংলাদেশী। তার মতে ১ কোটি ২০ লক্ষ বাংলাদেশীর বোঝা বহন করে চলেছে এই রাজ্য।‌এবং যাতে এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তিনি ঝাড়খন্ডবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

কল্পার্ণব এদিন বলেন যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন তা দুর্বোধ্য। তিনি বলেন আসাম একমাত্র রাজ্য যেখানে বিদেশি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে এন আর সি প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হয়েছে। এবং উচ্চতম ন্যায়ালয়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত তিন বছর ব্যাপী এই প্রক্রিয়ার শেষে গত ২০১৯ এর আগষ্ট মাসে বৈধ নাগরিকদের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার থেকে বাদ পড়েছেন মাত্র ১৯ লক্ষ। এবং তারপরও এদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হলে এদের অধিকাংশই বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যের সাথে প্রকৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যার কোন মিল নেই।

ফ্রন্টের অপর আহ্বায়ক মিনহাজ লস্কর বলেন  যে ঝাড়খন্ডের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দেখতে পেলে জনগনকে এদের ঠ্যাং ভেঙ্গে রাজ্য থেকে বহিস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একটি সাংবিধানিক পদ অলংকৃত করছেন এবং জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে রাজ্যের সবাইকে নিয়ে চলা ও সবার সমন্নোয়নের শপথ নিয়েছেন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য তার পরিপন্থী। শুধু তাই নয় এই ধরনের মন্তব্য  সারা ভারতে বাঙালিদের বাংলাদেশী তকমা দিতে ইন্ধন যোগাবে। এর ফলে সারা দেশে বাঙলাভাষীরা হেনস্থা ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল হল ।

যুবফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক বলেন যে এই ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্য মেনে নেওয়া যায়না এবং সেজন্য বাঙালিদের স্বার্থে তাঁরা সমগ্র ঘটনার তদন্তক্রমে দোষীর শাস্তির দাবিতে কাছাড় পুলিশ সুপার ও ডিজিপির কাছে আজ ই মেইলে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন তাঁরা আশাবাদী যে অবিলম্বে এই ব্যাপারে বিহিত ব্যাবস্থা নেবে পুলিশ প্রসাশন।

বিডিওয়াইএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

Promotional

Advertisement

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news