পুজোর আগেও ভাঙাচোড়াই থাকবে ক্যাপিটাল রাঙ্গিরখাড়ি রাস্তার চেহারা !

2 - মিনিট |

ক্যাপিটাল ট্রাভালস থেকে শুরু করে রাঙ্গিরখাড়ি অবধি দুই কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা শোচনীয়

চয়ন ভট্টাচার্য

শিলচর : জেলাশাসকের অফিসের সামনে রাস্তায় কালো পিচ ফেলা হয়েছে। কদিন আগেও কিছু গর্ত ছিল। কিন্তু এখন সবকিছু উধাও। ঝা চকচকে রাস্তা। পুজোর আগে বলে কি কাজগুলো হচ্ছে। সারা শহরের অবস্থা কি। সারা শহরে কি এভাবে ডিসি অফিসের সামনে যেভাবে পিচ করা হয়েছে, সেরকম রাস্তা সংস্কার করা হবে। নাকি কিছু মাটি ভরাট করে মোটামুটি একটা সমান করে দেওয়া হবে? এ প্রশ্নই মানুষের মনে উঁকি মারছে।

ক্যাপিটাল ট্রাভালস থেকে শুরু করে রাঙ্গিরখাড়ি অবধি দুই কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। যেন গর্তের মিছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে বিশাল গর্তগুলো ছিল এগুলো কিছুটা ভরাট করা হলেও এখন নতুন কিছু গর্ত তৈরি হয়েছে। পুজোর আর কয়েকদিন ।এর আগে যদি রাস্তায় মেরামত না হয় তাহলে সমস্যা দেখা দেবে।

কিন্তু মুশকিল হলো এই রাস্তা মেরামতটা করবে কে?এই রাস্তার দায়িত্ব এখন আর পূর্ত বিভাগের জাতীয় সড়ক শাখার হাতে নেই। এখন এর দায়িত্বে আছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড।এই সংস্থার হাতে এই রাস্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রাস্তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হচ্ছে না। স্থানীয় পূর্ত বিভাগের হাতে এই রাস্তার দায়িত্ব থাকলে এতদিনে কাজ হয়ে যেত এই দাবি করছেন পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা।

Register your business, organisation, and services in ‘InfoCom Silchar Diary’
e-mail: infocom.krc@gmail.com
Know More | Apply Here

পূর্ত বিভাগের জাতীয় সড়ক শাখার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার অর্জুন মন্ডল জানালেন তাদের হাতে এখন আর এই রাস্তা নেই। এটা এখন এনএইচ আইডিসিএলের কাছে।তাই এ বিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারবেন বা। যদিও ক্যাপিটাল থেকে রাঙ্গিরখাড়ি রাস্তাটি ন্যাশনাল হাইওয়ে হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এর দায়িত্ব পূর্ত বিভাগের হাতে এখন আর নেই। কার্যত এখন জাতীয় সড়ক বিভাগের হাতে এখন কোন রাস্তাই নেই।

পুজোর আগে কাজ হবে কিনা এটা নির্ভর করছে অনেক কিছু উপর। ঠিকাদার সময় মত কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে এই রাস্তার কাজ বরাদ্দ হয়ে আছে। কিন্তু কোন রহস্যজনক কারণে কাজটা শুরু হচ্ছে না।আর পুজোর আগে যে কাজ শুরু হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই এই জায়গা ছাড়াও অম্বিকা পট্টি চৌরঙ্গী থেকে শুরু করে শিলং পট্টি পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। এছাড়া বিবেকানন্দ রোড এমনকি তারাপুরের রাস্তার অবস্থা ভালো নয়।জলজীবন মিশনের পাইপ লাইন বসাতে যে রাস্তা গুলি খোঁড়া হয়েছিল সেগুলো ঠিকমতো মেরামত হয়নি। এগুলো করার জন্য তেমন কোন বিশেষ উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

এক কথায় সারা শহরের রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। সবকিছুই এখন ঠিকাদার মুখি হয়ে গেছে। ঠিকাদার নেই ।ঠিকাদার চলে গেছে। ঠিকাদার কাজ শুরু করতে দেরি করছে। সবকিছুতেই ঠিকাদার প্রসঙ্গ এসে যাচ্ছে। ঠিকাদারাই এখন সর্বশক্তিমান। তাই ইঞ্জিনিয়াররা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না কবে কি হবে। আর এইসব ঠিকাদাররা সব বাইরের এবং অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের ঘটাতেও সাহস করেন না ইঞ্জিনিয়ার রা।

তবে পুজো বলে কথা। হয়তো শেষ পর্যন্ত জোড়া তালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে মোটামুটি একটা চলাচলের ব্যবস্থা হবে। ডিসি অফিসের সামনে পিচ করার রাস্তার মতো হবে না গোটা শিলচর ।এটা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়। এটা ঠিক রাস্তা নিয়ে কিন্তু মানুষের মনে ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। ক্যাপিটাল থেকে রাঙ্গিরখাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় যদি কেউ টুকটুকিতে বা অটোতে উঠে যান তাহলে এক কথায় তাকে প্রাণ হাতে নিয়ে যেতে হয়।

বুঝি উল্টে পড়ল।এই দৃশ্য কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে দেখছেন শিলচরের মানুষ। প্রায় প্রতিটি রাস্তার একই অবস্থা।অনেকে আশা করেছিলেন পূজার আগে হয়তো ধুমধাম কাজ শুরু হবে। কিন্তু এর যে একটা সম্ভাবনা আছে এই আশ্বাস কিন্তু দিলেন না বিভাগের বড়কর্তারা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *