শিলচর তপসিল ক’বছর ! মহিলা বিল বদলে দিয়েছে সমীকরণ

2 - মিনিট |

এটা স্পষ্ট মহিলা বিলের সঙ্গে শিলচরের আসন সংরক্ষণের একটা সম্পর্ক রয়েছে

চয়ন ভট্টাচার্য

শিলচর : কত বছর শিলচর আসন তপসিল সংরক্ষণ থাকবে? সংসদে মহিলা বিল পাশের পর এই প্রশ্নটাই সামনে আসছে। একই সঙ্গে এবার যে ডিলিমিটেশন হল সেটা কি বহাল থাকবে আগামী ১০ বছর? এইসব প্রশ্ন ওঠার কারণটা হলো, মহিলা বিল সংসদের পাশ হওয়ার পর সরকার বলেছে, জনগণনার পর অর্থাৎ সেন্সর হওয়ার পর এবং তারপর যে ডিলিমিটেশন হবে, এ সমস্ত কিছুর পর এই বিল কার্যকর হবে।

Register your business, organisation, and services in ‘InfoCom Silchar Diary’
e-mail: infocom.krc@gmail.com
Know More | Apply Here

কেন ডিলিমিটেশন ?কেন এর আগেও তো এই বিল কার্যকর করা যায়। আসলে ডিলিমিটেশন হলে দেশে কতটি আসন থাকবে ,কতটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে সেটা নির্ধারণ করা সহজ হবে। আগামী যে ডিলিমিটেশন হবে তারপর সংসদে আসন বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়া উত্তর ভারতে আসন বৃদ্ধি হবে এবং দক্ষিণ ভারতের লোকসভা আসন কমবে। দক্ষিণ ভারত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তাই জনগণনা ও ডিলিমিটেশনের সঙ্গে মহিলা বিলের সম্পর্ক রয়েছে।

তখন সারাদেশেই একই সঙ্গে ডিলিমিটেশন হবে। সে ক্ষেত্রে বরাকে হয়তো আরও একটি লোকসভা আসন বাড়তে পারে। আর এরকম কিছু হলে শিলচর তফসিল সংরক্ষিত থাকবে এর কোন গ্যারান্টি নেই। আবার এটা মহিলার সংরক্ষিতও হতে পারে। এনিয়ে যত ধরনের চিৎকার এখন হচ্ছে সেটা হয়তো আগামী ১০ বছরের জন্য। ২০২২ সালে জনগণনা দেশে হয়নি। এখন ২০২৩ চলে যাচ্ছে। জনগননা করা হবে এমন কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না । অথচ ১০ বছর পর পর জনগণনা হওয়ার কথা। ২০২১ সালে করোণার জন্য সারা দেশে আদমশুমারি করানো যায়নি।

অতএব এটা স্পষ্ট মহিলা বিলের সঙ্গে শিলচরের আসন সংরক্ষণের একটা সম্পর্ক রয়েছে। সরকার যদি ২০৩১ সালে ,কারণ ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল সেটা যখন হয়নি তখন ধরা যায় ২০৩১ সালেই জনগণনা হবে। এরপরে ডিলিমিটেশন।তখন তো আসামকে বাদ রেখে সারা দেশে হবে না। এবারে অসমে যে ডিলিমিটেশন হয়েছে সেটা করা হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভা আসনগুলির সংখ্যা সমান রেখে। আগামীতে যে ডিলিমিটেশন হবে তখন লোকসভা ও বিধানসভার আসনের সংখ্যা বাড়বে।

তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায় আসামে সংখ্যাটা একই রকম থাকবে না এখনেও বাড়বে। অর্থাৎ আসামেও আদমশুমারি হবে। সেটা অবশ্যই ২০৩১ সালে হবে এমন নয় যখন ইচ্ছা হতে পারে। দেশের জনসংখ্যা গণনা হবে এরপরই ডিলিমিটেশন হবে।

তাই শিলচর আসন আগামী চল্লিশ বছরের জন্য তফসিল হয়ে গেল এমনটা ভাবার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আগামী ৩০ বছর অসমে খিনঞ্জিয়াদের রাজত্ব কায়েম হল এটা হবে না। অন্তত পক্ষে মহিলা বিল পাস হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে এটাই স্পষ্ট। আগামী যে ডিলিমিটেশন হবে তাতে সারাদেশে লোকসভা আসন সংখ্যা বাড়বে। অন্তত পক্ষে ৮০০টি লোকসভা আসন হওয়ার সম্ভাবনা। তাই এক্ষেত্রে অসমে আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। অতএব শিলচরও বদলাবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *